প্রশ্ন
আমি আমার একটি জমি মসজিদের জন্য ওয়াকফ করেছি। কিন্তু ওয়াকফের সময় সে জমিতে ফসল ছিল। ফসলকে স্বতন্ত্রভাবে ওয়াকফ করিনি। জানতে চাচ্ছি, উক্ত ফসলের হুকুম কী হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যদি ওয়াকফের সময় ফসলের কথাও উল্লেখ করা হয় তাহলে তা ওয়াকফের সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: (تَصَدَّقْ بِأَصْلِهِ، لَا يُبَاعُ وَلَا يُوهَبُ وَلَا يُورَثُ، وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ). فَتَصَدَّقَ بِهِ عُمَرُ
উমর (রা.) একটি খেজুর বাগান ওয়াকফ করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে বলেছিলেন: ‘তুমি মূল সম্পত্তিটি এভাবে সদকা (ওয়াকফ) কর যে,لاَ يُبَاعُ وَلاَ يُوهَبُ وَلاَ يُورَثُ، وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ তা বিক্রি করা যাবে না, কাউকে দান করা যাবে না এবং এতে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। এর থেকে উৎপন্ন ফলফলাদি (নির্ধারিত খাতে) ব্যয় হবে। এরপর উমর (রা.) তা ঐভাবে সদকা (ওয়াকফ) করেছিলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৭২৪]
কিন্তু যদি ওয়াকফের সময় উক্ত ফসলের কথা উল্লেখ না করা হয় তাহলে ওয়াকফের অন্তর্ভুক্ত হবে না। বরং মালিকের মালিকানায় বাকি থাকবে।
রদ্দুল মুহতার ৪/৩৬১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم