প্রশ্ন
নামাযের অপেক্ষায় মসজিদে ঘুমিয়ে থাকা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জ্বি, যাবে। সাহাবায়ে কেরাম মসজিদে ঘুমিয়ে থাকতেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘সাহল ইবনু সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত। আলী (রা.) এর কাছে আবূ তুরাব-এর চেয়ে প্রিয় কোন নাম ছিল না। এ নামে ডাকা হলে তিনি খুবই খুশী হতেন। কারণ একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতেমাহ (রা.) এর ঘরে আসলেন। তখন আলী (রা.)-কে ঘরে পেলেন না। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার চাচাতো ভাই কোথায়? তিনি বললেনঃ আমার ও তাঁর মাঝে কিছু ঘটে যাওয়ায় তিনি আমার সঙ্গে রাগ করে বেরিয়ে গেছেন। আমার কাছে কা-ইলাহ করেননি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক লোককে বললেনঃ দেখতো সে কোথায়? সে লোকটি এসে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! তিনি তো মসজিদে ঘুমিয়ে আছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে দেখতে পেলেন যে, তিনি কাত হয়ে শুয়ে আছেন, আর তাঁর চাদরখানা পার্শ্ব থেকে পড়ে গেছে। ফলে তার গায়ে মাটি লেগে গেছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর গায়ের মাটি ঝাড়তে লাগলেন এবং বলতে লাগলেনঃ ওঠো, আবূ তুরাব (মাটির বাপ) ওঠো, আবূ তুরাব! এ কথাটা তিনি দু’বার বললেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৮০]
আরেক হাদিসে এসেছে,
‘আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.)-এর সাহাবীগণ ইশার নামাজের জন্য এতক্ষণ অপেক্ষা করতেন যে (তন্দ্রায়) তাদের মাথা ঢলে পড়ত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২০০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم