প্রশ্ন
জামাতের সময় ফজরের সুন্নাত পড়া যাবে কি এবং ফজরের সুন্নাতের কাযা কখন করতে হয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
স্বাভাবিক অবস্থায় জামাত শুরু হয়ে গেলে অন্য কোনো নামাজ পড়া ঠিক নয়। তবে ফজরের সুন্নাতের গুরুত্ব তুলনামূলক বেশি বিধায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন সুযোগ থাকলে আগে সুন্নাত পড়ে নিবে এরপর জামাতে শরীক হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন-
لم يكن النبي صلى الله عليه وسلم على شيء من النوافل أشد منه تعاهدا على ركعتي الفجر
‘নবী (সা.) ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) নামাযে এত গুরুত্ব দিতেন যা অন্য কোনো নফল (বা সুন্নত) নামাযে দিতেন না।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১১৬৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭২৪]
অন্য হাদিসে এসেছে,
আবু মূসা আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত, (কূফার গভর্নর) সায়ীদ ইবনে আস তাকে এবং হুযায়ফা ও আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-কে ফজরের নামাযের আগে ডাকলেন। তারা (কাজ শেষে) তার কাছ থেকে বিদায় নিলেন। ইতিমধ্যে মসজিদে ফজরের নামাযের ইকামত শুরু হয়ে গেছে। ইবনে মাসউদ (রা.) মসজিদের একটি খুঁটির আড়ালে ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) পড়লেন। তারপর জামাতে শরীক হলেন। [ শরহু মাআনিল আসার ১/৬১৯]
তবে যদি সুন্নাত পড়তে গিয়ে ফজরের জামাত সম্পূর্ণভাবে ছুটে যায় বা জামাত না পাওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে সুন্নাত না পড়েই জামাতে শরিক হতে পারবে।
সূর্যোদয়ের পর থেকে ঠিক দুপুরের পূর্বে এই সুন্নাত কাযা পড়া যায়। তবে তা জরুরী নয়, বরং নফল বা মুস্তাহাব।
তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, জামাতের সময় সুন্নাত পড়ার প্রয়োজন হলে মসজিদের এক কোণে বা বারান্দায় গিয়ে সুন্নাত পড়বে। জামাতের সাথে মিলে দাঁড়াবে না।
ফাতাওয়া শামী ২/৫৭, মাবসূত ১/১৫০, আল বাহরুর রায়েক ২/৮৪, ফাতাওয়া উসমানী ১/৪৮৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم